অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজা উপত্যকায় গত ১০ দিন ধরে কোন চিকিৎসা সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না।
হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নতুন হামলা চালানোর প্রেক্ষাপটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিওএইচও শুক্রবার এ কথা বলেছে।
ডব্লিওএইচও’র মুখপাত্র তারিক জাসারেভিক বলেছেন, ইসরায়েলের রাফা ক্রসিং বন্ধ করে দেয়ায় কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেছেন, আমরা সর্বশেষ চিকিৎসা সামগ্রী পেয়েছি ৬ মে’র আগে।
ইসরায়েলী বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গত ৭ মে রাফায় প্রবেশ করে। তারা মিসরের সাথে গাজার সীমান্ত রাফা ক্রসিং বন্ধ করে দেয়। এটি মানবিক সরবরাহের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং হিসেবে বিবেচিত।
এদিকে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা গাজা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখে রযেছে বলে সতর্ক করে আসছে। এ প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের দিক থেকে গাজার কেরাম শালোম এবং এরেজ ক্রসিং কার্যত বন্ধ রয়েছে।
জাসারেভিক বলেন, ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলো চালানোর মতো প্রয়োজনীয় জ্বালানি নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ রয়েছে। গাজার হাসপাতালগুলোর প্রতিমাসে ১৮ লাখ লিটার জ্বালানি প্রয়োজন হয়।
অথচ রাফা ক্রসিং বন্ধ করে দেয়ার পর কেবল এক লাখ ৫৯ হাজার লিটার জ্বালানি গাজায় প্রবেশ করেছে যা স্পষ্টত খুবই কম বলে জাসারেভিক উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলীকে হত্যা এবং ২৫০ জিম্মি করে। এখনও তাদের কাছে ১২৮ জিম্মি আটক রয়েছে।
এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৫ হাজার তিনশ’ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
Leave a Reply